মানবদেহের পরিপাকতন্ত্রের গঠন বেশ জটিল। পরিপাকতন্ত্রের অন্তর্গত অঙ্গসমূহ নিম্নরুপঃ
মুখ দিয়ে আমরা খাদ্য গ্রহণ করি। মুখ থেকে খাদ্য গলবিলের মধ্য দিয়ে খাদ্যনালী
তে পৌছে। খাদ্যনালী থেকে খাদ্য পাকস্থলীতে গমন হয়। পাকস্থলীর পরিবেশ অশ্লীয় কারণ এখানে হাইড্রোক্লোরিক এসিড উৎপন্ন হয়। এখানে গৃহীত খাদ্য একটি মন্ডে পরিণত হয় যা ক্ষুদ্রান্ত্রে প্রবেশ করে। এখানে বেশিরভাগ পুষ্টি শোষিত হয়। তারপর বাকি অংশ বৃহদান্ত্রে পৌছে।এখানেও অবশিষ্ট পুষ্টি ও পানি শোষিত হয়ে মল তৈরী হয় যা পায়ু দিয়ে বাইরে নিষ্কাশিত হয়।
পরিপাক
খাদ্যকে উৎসেচকের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করে পরিপাকতন্ত্রের নিদিষ্ট অংশ কর্তৃক শোষণের উপযোগী করার প্রক্রিয়াকে পরিপাক বলে।
খাদ্যের মূল অংশ ৬টি যাকে পুষ্টি উপাদান বলে। যথা-
এসব পুষ্টি উপাদান দেহের কী কী কাজ করে তা আমাদের সবারই জানা থাকা উচিত।
আমিষঃ কোষ,কলা তৈরী ও মেরামত। আমাদের দেহে আমিষের ভূমিকা নিম্নরুপ-
শর্করাঃ শক্তি উৎপাদন, শারীরিক ক্রিয়া। দেহে শক্তির প্রয়োজন মূলত তিনটি কারণে। যথা-
চর্বিঃ শক্তি উৎপাদন, শারীরিক ক্রিয়া।
ভিটামিনঃ ভিটামিন এ – দৃষ্টিশক্তি দৃঢ় করে।
ভিটামিন বি ১-বেরিবেরি প্রতিরোধ।
ভিটামিন বি ২- সুস্থ ঠোঁট,মুখ,জিহবা।
প্রতিরোধ। বি ৩- প্যালেগ্রা রোগ প্রতিরোধ।
ভিটামিন বি ১২- রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ।
ভিটামিন সি- স্কার্ভি প্রতিরোধ।
ভিটামিন ডি – হাড় ও দাঁত মজবুত করে।
ভিটামিন ই – রোগপ্রতিরোধ ও বয়সের ছাপ দূর করে।
ভিটামিন কে – রক্তের স্বাভাবিক জমাট বাঁধা নিশ্চিত করে।
খনিজ পদার্থঃ খনিজ পদার্থসমূহ দেহের বিভিন্ন বিপাকীয় কাজে অংশগ্রহণ করে।
জলঃ জল দেহের সকল ক্রিয়া বিক্রিয়ার মাধ্যমরুপে কাজ করে।
এগুলোই উৎসেচক কর্তৃক পরিপাক হওয়ার পর দেহে শোষিত হয় এবং দেহের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে এবং বিবিধ বিপাকীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। খাদ্যের এসব উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশেষত শিশুকালে এসব পুষ্টির সুষম সমন্বয় করে শিশুকে খাওয়ালে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সাধিত হয়। নতুবা শিশুর পুষ্টিহীনতা দেখা দেয়। এ উপাদানসমূহের কাজ সম্পর্কে ধারণা থাকলে স্বাস্থ্য পরিচর্যায় তা ভলোভাবে কাজে লাগানো যায়।
Designed & Developed by TechSolutions BD