অ্যান্টিবায়োটিক আর দুধ যে একসাথে খাওয়া ঠিক নয় । সে কথা অনেকেই জানেন । তবে এবার জেনে নিন এমন আরো অনেক ওষুধ ও খাবারের কথা, যেসবগুলো একসাথে খেলে শরীরের উপকার না হয়ে ক্ষতিও হতে পারে ।
ওষুধকে পুরোপুরি কাজে লাগতে গ্রেপফ্রুট বা স্বাধে টক, বড় কমলাজাতীয় ফলের ভেষজ উপাদান অন্ত্র বা পেটের এনজাইমকে দমন করে বা বাধা দেয় । তাই ওষুধের সাথে গ্রেটফ্রুট না খাওয়াই শ্রেয় । চিকিৎসা চলাকালীন গ্রেপফ্রুটকে একেবারে দূরে রাখুন ।
আয়নর ট্যাবলেটের কাজ হচ্ছে অন্ত্রের মাধ্যমে রক্তে প্রবেশ করা । কিন্তু এই ট্যাবলেটের সাথে যদি চা বা কফি পন করা হয়, তাহলে তা মূত্রের মাধ্যমে তাড়াতাড়ি শরীর থেকে বেরিয়ে যায় । ফলে আয়রন ট্যাবলেটের উপকারিতাও কমে যায় । তাই রক্তস্বল্পতার কারণে যারা আয়রন ট্যাবলেট খান , তারা অবশ্যই ট্যাবলেট সেবনের দু‘ ঘন্টা পরে চা বা কফি পান করবেন ।
ব্রকলির মতো সবুজ সবজি বা সালাদে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ‘কে ‘ যা রক্ত জমাট বাঁধাতে সাহায্য করে । তবে যারা রক্তের ঘনত্ব কমাতে, বিশেষ করে পা ফুলে যাওয়ার জন্য ওষুধ খান , সে সব ওষুধের সাথে সবুজ সবজি খেলে ওষুধের উপকারিতা কমে যায় ।
অ্যান্টিবায়োটিকের বিশেষ কিছু উপাদান ক্যালসিয়ামের সাথে মিশে দানা বা জট হয়ে যায় । ফলে তা পেটের মাধ্যমে রক্তে প্রবেশ করতে পারে না । তাই অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে দুধ খাওয়া উচিত নয় । তবে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার দু‘ ঘন্টা আগে বা পরে ধুমপানে বাধা নেই ।
তৈরি মাংসের খাবারে , যা মূলত পশ্চিমা বিশ্বেই বেশি পাওয়া যায়, থাকে প্রচুর পরিমানে টিরামিন । তাই যারা বিষণ্নতায় ভোগেন তাদের চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে এসব খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো । কারণ তা সুস্থ হওয়া দীর্ঘায়িত করে এবং এতে উচ্চরক্তচাপও হতে পারে ।
কর্টিসোন হলো অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি নিঃসৃত এক ধরনের হরমোন । যখন কেউ কর্টিসোন সেবন করবেন, তখন কোনোভাবেই তার সঙ্গে চিপস খাবেন না, বিশেষ করে কর্টিসোন ওষুধটি যদি ত্বকের সমস্যার জন্য হয়ে থাকে । কারন কর্টিসোন থাকা ন্যাট্রিউম পেটব্যথা ও গলাব্যথার কারণ হতে পারে ।
সেরিয়াল বা বিভিন্ন দানায় থাকা আঁশ ব্যথার ওষুধকে ভালোভাবে কাজ করতে তো দেয়ই না , বরং বাধার সৃষ্টি করে । অর্থাৎ পেট বা অন্ত্রকে দমন করে থাকে সিরিয়াল । তাই শস্যদানা , আঁশজাতীয় খাবার কোনো ব্যথার ওষুধের সাথে খাবেন না ।
যারা অ্যাজমা বা হাঁপানির ওষুধ সেবন করেন , তাদের গোলমরিচ না খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ । কারন গবেসনায় বলছে , গোলমরিচের ঝাঁঝ অ্যাজমার ওষুধের কর্মক্ষমতা কমিয়ে তার গতিও ধীর করে দেয় । তাই যাদের হাপানি আছে , তারা গোলমরিচ এরিয়ে চলুন ।
পরামর্শ
যে কোন ওষুধ সেবন করার আগে ওষুধের ভাল-মন্দ দিকগুলো ডাক্তারের কাছে জেনে নিন এবং ওষুধের সাথে থাকা ছোট্র তথ্যপুস্তিকাটি ফেলে না দিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন । ওষুধ সুস্থ করবে এটাই স্বভাবিক , কিন্তু তার পাশ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানুন । আপনার খাদ্যভ্যাস যেন আপনার চিকিৎসার পথে বাধা সৃষ্টি না করে । এদিকে নজন রাখলেই তাড়াতাড়ি ও পুরোপুরি সুস্থ হওয়া সম্ভব ।
Designed & Developed by TechSolutions BD