ক্যান্সার হচ্ছে দেহের কোন কোষগুচ্ছের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি যা সাধারণ দেহকোষের তুলনায় অনেক দ্রুত বাড়ে। এই কোষগুলো উৎপত্তিস্থলের কোষ থেকে ভিন্নধমী হয়। সাধারণত বিশেষ কোন বাহ্যিক শক্তির প্রভাবে এই বৃদ্ধি শুরু হয় সে কারণটি পরে বন্ধ হয়ে গেলেও কোষবৃদ্ধি একই গতিতে বাড়তে থাকে।
তবে সব টিউমারই ক্যান্সার নয়। যে টিউমারগুলো জীবন ধবংসকারী কেবল তাদেরকই ক্যান্সার বলা হয়ে থাকে। আর জীবনের জন্য হুমকি নয় এমন টিউমারকে বলা হয় বিনাইন টিউমার বা সাধারণ টিউমার।
বিভিন্ন ক্রিয়াপ্রতিক্রিয়ার ফলে দেহের দ্রুতবর্ধনশীল কোষগুলো ( যেমন:অস্তিমজ্জা,ত্বক ) – এর ক্রোমোসোমের গঠনে বিশেষ পরিবর্তন ঘটে। ফলে উৎপন্ন হয় ক্যান্সার কোষ। সাধারণতভাবে দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এই সব পরিবর্তিত ক্যান্সার কোষগুলোকে বিশেষ নিয়মে ধবংস করে দেয়। কিন্তু কোন কোষ যদি ধবংস হওয়া থেকে বেঁচে যায় তাহলে সেই কোষগুলোই তৈরী করতে থাকে টিউমার।
ক্যান্সারের সাধারণ কারণগুলো হচ্ছে:
ক্যান্সার নির্ণয়ে যে পরীক্ষাগুলো করা হয়ে থাকেঃ
ক্যান্সার যে কোন বয়সে হতে পারে । এই রোগের নিদিষ্ট কোন বয়স নেই। তবে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে। ক্যান্সারের একটা খারাপ দিক হচ্ছে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে চিকিৎসা না করলে তা রক্ত, লসিকা বা পার্শ্বীয় সংক্রমণের মাধ্যমে দেহের অন্যান্য অঙ্গেও ছড়িয়ে যেতে পারে। একে মেটাস্ট্যাসিস বলে। তখন আর কিছু করার থাকে না। তাই দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং চিকিৎসা নেয়াটা জরুরি । ক্যান্সার নির্ণয়ের পরীক্ষাগুলো হচ্ছে-
মনে রাখতে হবে, ক্যান্সার রোগের ক্ষেত্রে দ্রুত রোগ নির্ণয় খুবই জরুরি। এজন্য চাই উপযুক্ত জ্ঞান ও সামাজিক সচেতনতা। তবেই এই মরণব্যাধিতে মৃত্যুর হার অনেকাংশে কমানো সম্ভব হবে।
Designed & Developed by TechSolutions BD