শীতে আবহাওয়ার রুক্ষতার দরুণ নানান ধরনের রোগ-শোকের প্রবণতা বাড়ে। অল্পতেই গলায় খুশখুশে কাশি কিংবা হঠাৎই ফ্লুয়েল আক্রামণ-এই সবই শীতকালের অংশ। আবার ত্বকের অবস্থাও বেশ নাজুক হয়ে যায় এই শীতে। এই সব থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে থাকেন সবাই। কিন্তু অনেকেই জানেন না মজার একটি তথ্য। রান্নাঘরের যে ছোট বয়ামে আপনি লবণ রাখেন, সেখানেই আছে আপনার সকল সমস্যার সমাধান। লবণ যেমন রান্নার কাজে অতি দরকারি একটি জিনিস তেমনি এই শীতে শীতকালীন অনেক সমস্যার সমাধানেও লবণ অতি জরুরি। জেনে নিন লবণের ব্যতিক্রম কিছু উপকারের কথা:-
শীতকালে কানের ব্যথা রোগে ভুগে থাকেন অনেকেই। কানের ইনফেকশনের জন্য হয়ে থাকে এই ব্যথা যা অনেক কষ্টতায়ক। অনেকেই কানের ব্যথায় তেল ব্যবহার করে থাকেন কিন্তু এটা একটি ভুল চিকিৎসা। কানের ব্যথা উপশমে আপনার দরকার শুধু লবণ। এক কাপ পরিমাণ লবণ গরম করে নিন প্যানে কিংবা মাইক্রোওয়েভ ওভেনে। একটি মোটা কাপড়ে গরম লবণ নিয়ে কানে সহ্য করার মতো তাপমাত্রায় ঠান্ডা হতে দিন। এরপরে শুয়ে থেকে ৫ মিনিট ধরে এই লবণের তাপ নিতে থাকুন কানে। এভাবে প্রতিদিন ৩/৪ বার ভাপ নিন। কানের ইনফেকশন দূর হবে।
শীতকালে সব চায়তে যন্ত্রণাদায়ক রোগ হচ্ছে ফ্লু। আর ফ্লু হওয়া মানেই ৩/৪ দিনের বিছানাবাস। নাক বন্ধ হয়ে শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হওয়া জনিত এই ফ্লু থেকে অতি সহজেই নিস্তার হেতে পারেন লবণের মাধ্যমে। ২৫০ মিলিলিটার হালকা গরম পানিতে১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। এরপরে একটি পাম্প সিরিঞ্জের মাধ্যমে এই হালকা গরম পানি নাকে প্রবেশ করান। একপাশের নাক আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরে অন্য পাশে এই হালকা গকরম পানি প্রবেশ করান ও বয়ে যেতে দিন। এতে করে নাক বন্ধ সমস্যা দূর হবে। এবং পাশাপাশি ফ্লুয়ের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস মুক্ত হবে।
গলার খুশখুশে অনুভূতি ও কাশি দূর করার প্রচলিত ও সর্বজনস্বীকৃত সহজ উপায় হচ্ছে লবণ পানির গারগল। অনেকেই মনে করে থাকেন গারগলে তেমন উপকার পাওয়া যায় না। কিন্তু এইটা অনেক কার্যকর একটি ঔষধ শীতকালীন এই সমস্যা দূরীকরণে। ২৫০ মিলি লিটার গরম পানিতে ১ চা চামচ লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিন। পানির গরম আপনি যতটুকু সহ্য করতে পারবেন ততোটুকু নিন। এরপর গরম পানি দিয়ে গারগল করুন দিনে ৩/৪ বার। সবচাইতে সহজ হলেও গলার খুশখুশে অনুভূতি ও কাশি দূর করার সব থেকে দ্রুত উপায় হচ্ছে লবণ গরম পানির গারগল।
শীতকালে সবার ত্বকের আসে শুষ্কতা। এই শুষ্কতা দূর করার উপায়ের মধ্যে সবচাইতে সহজ উপায় হচ্ছে লবণের ব্যবহার। শীতকালে কম বেশি সবাই গরম পানিতে গোসল করে থাকেন। এই গরম পানির মধ্যে লবণ মিশিয়ে নিন। এতে করে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে ও ত্বক নরম ও কোমল হবে।
শীতকালে সাইনাসের সমস্যা আরও বেড়ে যায়।যাদের এই সমস্যা আছে একমাত্র তারাই জানেন কতোটা দুর্ভোগ পোহাতে হয় এর জন্য। কিন্তু শীতে সাইনাসের সমস্যাও কমাতে পারে লবণ। একটি মাত্রে ১ লিটার ফুটন্ত গরম পানিতে ১ চা চামচ লবণ ও ১ চা চামচ বোরিক পাউডার দিয়ে মিশিয়ে নিন। এরপর এই পানির ভাপ নিতে থাকুন নাক দিয়ে। এতে করে অনেক উপশম হবে সাইনাসের সমস্যার।
Designed & Developed by TechSolutions BD