খাদ্যআঁশ
আইভি খান ওয়াহিদ || 2021-04-17 01:49:55
আশঁ সরাসরি খাদ্যের উপাদান নয়। তবু মানবদেহের জন্য যে খাদ্যের আশঁ অত্যন্ত উপকারী তাতে কোন সন্দেহ নেই। চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদগণ আশঁজাতীয় খাদ্যগ্রহণের জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। নিম্নে আশঁজাতীয় খাদ্যের উপকারিতা আলোচনা করা হল:
- আশঁ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। আশঁজাতীয় খাদ্য অন্ত্রে পানি ধরে রাখে বলে মলত্যাগ ত্বরান্বিত হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
- মলাশয়ে অবস্থিত ব্যাকটেরিয়া নানা রকম বিষাক্ত পদার্থ উৎপন্ন করতে থাকে যা মলাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। খাদ্যের আঁশ এসব পদার্থ বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করে। ফলে মলাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
- খাদ্যের আঁশ দেহের গ্লুকোজের সহনশীলতা বৃদ্ধি করে। আঁশের উপস্থিতিতে অন্ত্র থেকে ধীর গতিতে গ্লুকোজের পরিশোষণ ঘটে। তাই ডায়বেটিক রোগীরা আঁশ গ্রহণ করলে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা অনেকাংশে কমে যায়।
- আঁশ অন্ত্র থেকে কোলেস্টেরল শোষণ নিয়ন্ত্রণ করে। বেশি করে আঁশ গ্রহণে অন্ত্র থেকে কোলেস্টেরল শোষণ কমে যায়। কেননা খাদ্যের আঁশ অন্ত্র থেকে কোলেস্টেরল বের করে দিতে সাহায্য করে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে যায়।
- খাদ্যে আঁশের উপস্থিতিতে সামান্য খাদ্য গ্রহণেই পেট পূর্ণ বলে মনে হয়। এতে অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। ফলে অধিক ক্যালরিজাতীয় খাদ্য গ্রহণের কারণে ওজনবৃদ্ধি রোধ করা যায়।
- পরিশোধিত শ্বেতসার যেমন চিনির দাঁত নষ্ট করার প্রবণতা অধিক। উচ্চ আঁশযুক্ত খাদ্যে পরিশোধিত চিনির পরিমাণ কম হওয়ায় দাঁতের ক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
আঁশজাতীয় খাদ্য গ্রহণে সামান্য সমস্যাও হতে পারে। যেমন-
- খাদ্যের পরিপাক এবং আমিষ শোষণ ব্যাহত হতে পারে।
- কিছু খনিজ পদার্থ শোষণ কমে যায়।
- অন্ত্রে বিদ্যমান ব্যাকটেরিয়া কিছু আঁশকে গাঁজন করে এবং পেটে বায়ু তৈরী করে। ফলে তা পেটের অস্বস্তির কারণ হয়ে পড়ে।