ধারণা করা হয়, দেশে শতকরা ৬০ ভাগ চল্লিশোর্ধ মানুষের পাইলস বা হেমোরয়েডস আছে। লজ্জার কারণে অনেকে এই রোগের কথা প্রকাশ করেন না। এই রোগ নিয়ে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। লজ্জা পেয়ে চিকিৎসা না করলে রোগটি আরও জটিল আকারা ধারণ করতে পারে। তাছাড়া আমাদের দেশে অনেকেই পাইলস নিয়ে ভুল চিকিৎসার শিকার হন। এতে রোগীর স্থায়ী সমস্যা তৈরী হতে পারে। অথচ সময়মতো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে পাইলস নিরাময় সম্ভব। চলুন পাইলস রোগের জটিলতা চিকিৎসা এবং পাইলস প্রতিরোধে করণীয়গুলো জেনে নেই-
জটিলতা
চিকিৎসা
রোগের তীব্রতার উপর পাইলসের চিকিৎসা নির্ভর করে। প্রথমত, ওষুধ ব্যবহার করা হয়। রক্তপাত না হলে এক ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়। রক্তপাত থাকলে ওষুধের সাথে সাপোজিটরি ও অয়েনমেন্ট ব্যবহার করা হয়। যদি পাইলস বেরিয়ে আসে তবে ব্যান্ড লাইগেশন করা হয়। ব্যান্ড লাইগেশন ও ইনজেকশন ব্যথামুক্ত সফল চিকিৎসা পদ্ধতি। এতে রোগীর হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয় না।
দ্বিতীয়ত, রোগীকে অপারেশন করানো হয়। পাইলস যখন মলদ্বারের বাইরে অবস্থান করে এবং ভেতরে প্রবেশ করানো যায় না অথবা প্রবেশ করানোর পর আবার বের হয়ে আসে তখনই অপারেশন করাতে হয়। দুই পদ্ধতিতে অপারেশন করা যায়। পুরনো পদ্ধতিতে রোগীকে বেশকিছু হাসপাতালে থাকতে হয়। নতুন পদ্ধতিতে রোগীকে একদিনের বেশি হাসপাতালে থাকতে হয় না। উভয় পদ্ধতিই ব্যথামুক্ত এবং কার্যকর।
প্রতিরোধে করণীয়
Designed & Developed by TechSolutions BD